Header Ads

২০২১ সালে ৮ টি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করুন! জেনে নিন এক্ষুনি!!

 ২০২১ সালে ৮ টি উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করুন
8 Ways to Earn Money from YouTube in 2021

ইউটিউবাররা ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করে? জি আপনি যদি জানতে চান তাহলে আজকের ভিডিওটি আপনার জন্য। ২০২১ সাল চলে এলো, এবং সময়ের সাথে সাথে আপনি হয়তো ভাবছেন, কিভাবে এবার ঘরে বসেই অনলাইনে টাকা আয় করে স্বাবলম্বী হওয়া যায় আর ইউটিউব এখন পৃথিবীতে অনলাইনে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ, জনপ্রিয়, নির্ভযোগ্য ও বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম।  

আপনি যদি জানতে চান কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায় তাহলে উপরে শেয়ার করা ভিডিওটি আপনার আপনাকে দেখার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করব । ইউটিউবে টাকা আয় করা শুরু করার পূর্বে আপনাকে জানতে হবে ইউটিউব থেকে ক্রিয়েটররা কিভাবে টাকা আয় করে বা আপনি কোন কোন পন্থায় ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। তাই উপরের ভিডিওতে এবং এই কন্টেন্টে আমি আপনাদের সাথে ৮টি নির্ভযোগ্য পন্থা শেয়ার করেছি যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব কে ব্যবহার করে বা ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

Google AdSense
গুগল অ্যাডসেন্স গুগল দ্বারা পরিচালিত একটি প্রোগ্রাম যা মাধ্যমে গুগল নেটওয়ার্ক সামগ্রীর সাইটগুলির প্রকাশকরা সাইটের সামগ্রী এবং দর্শকদের জন্য লক্ষ্যযুক্ত পাঠ্য, চিত্র, ভিডিও বা ইন্টারেক্টিভ মিডিয়া বিজ্ঞাপন পরিবেশন করে। এই বিজ্ঞাপনগুলি গুগল দ্বারা পরিচালিত, বাছাই করা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

পৃথিবীতে ইউটিউব থেকে আয় করার যত মাধ্যম রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে (Google AdSense) গুগল এ্যাডসেন্স।


আপনার চ্যানেলে বিগত ১২ মাসে বা ৩৬৫ দিনে যদি ১ হাজার সাবস্ক্রাবার ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ্টাইম থাকে, তাহলে আপনি আপনার চ্যানেলটিকে ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের জন্য মনেটাইজেশন এর আবেদন করতে পারবেন। তবে সেজন্য অবশ্যই আপনার চ্যানেলে ভিডিও/কন্টেন্টগুলো অ্যাডভার্টাইজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে।

Advertiser Friendly Content কী?
বিজ্ঞাপনদাতাকে-বন্ধুত্বপূর্ণ সামগ্রী এমন সামগ্রী যা সমস্ত দর্শকদের জন্য উপযুক্ত। ভিডিও শিরোনামে এর মতো ভিডিও স্ট্রিম, থাম্বনেইল বা মেটাডেটাতে কোনও অনুপযুক্ত বা পরিপক্ক সামগ্রী নেই। যদি ভিডিওটিতে অনুপযুক্ত সামগ্রী থাকে তবে প্রসঙ্গটি সাধারণত কৌতুকপূর্ণ বা অসঙ্গতিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত; যা প্রমান করে আপনার কন্টেন্ট বা ভিডিও অ্যাডভার্টাইজার ফ্রেন্ডলি নয়।
যদি আপনার মনিটাইজেশন এপ্রুভ হয় তাহলে আপনার ভিডিওতে পেইড রেভিনিউ এ্যাড শো করানো হবে যেখান থেকে বিজ্ঞাপন প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া ইউটিউব এর অর্জনকৃত রেভিনিউ এর একটা অংশ আপনি পাবেন। এবং আপনি জানলে অবাক হবেন; শুধু মাত্র গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমেই একজন কনন্টেন্ট ক্রিয়েটর প্রতি মাসে হাজার হাজার এমন কি লাখ লাখ ডলার ও ইনকাম করে থাকে। *(তবে বাংলাদেশী অডিয়েন্স সম্পর্কিত কনন্টেন্ট এর ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন/কম)।


Affiliate Markeitng
ইউটিউব থেকে আর্নিং এর কথা ভাবলেই গুগল এ্যাডসেন্সের পর যেটা চলে আসে সেটা হলো; অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হ'ল অন্য ব্যক্তির (বা সংস্থার) পণ্যগুলিকে প্রচার করে কমিশন উপার্জনের প্রক্রিয়া। আপনি নিজের পছন্দ মতো একটি পণ্য খুঁজে নিন (যেটা আপনার কনন্টে ক্যাটাগরি সাথে সম্পর্কিত) অন্যকে প্রচার করেন এবং আপনার লিংক প্রতিটি বিক্রয়ের জন্য লাভের একটি অংশ অর্জন করুন।

আপনার যদি মনিটাইজেশন নাও থাকে, তারপরও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে একটি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন। যেমন; এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হচ্ছে অ্যামাজন। আপনি চাইলে অ্যামাজনে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট তৈরী করে, সেখানে থেকে আপনার পছন্দমতো প্রডাক্ট এর সেলার লিংক ক্রিয়েট করে আপনার ভিডিওটি পন্যটি সম্পর্কে বলতে পারেন এবং আপনার ভিডিওর ডেসক্রিপশনে সেই পন্যের আপনার ক্রিয়েট করা অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করতে পারেন, যেখান থেকে মানুষ ক্লিক করে কিনলেই আপনি একটা নির্দিষ্ট অংশের কমিশন পেয়ে যাবেন যেটা মাস শেষে নির্দিষ্ট অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রোভাইডার কোম্পানী আপনাকে প্রদান করবেন।

অ্যামাজন ছাড়াও বাংলাদেশে এমন অনেক সাইট রয়েছে, যেমন- বিডি শপ, দারাজ ইত্যাদি। তবে অবশ্যই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান ও পন্য বেছে নেয়ার দায়িত্ব আপনার। আপনার শেয়ার করা কোনো কিছু থেকে যেনো আপনার কোনো দর্শক, কোনোভাবেই প্রতারনা বা ক্ষতির সম্মুক্ষিণ না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

Sponsorship
গুগল অ্যাডসেন্সের বাইরেও ইউটিউবারদের বেশ বড় অংকের একটা ইনকাম আসে স্পন্সরশীপ থেকে। তবে স্পন্সরশীপ পেতে অবশ্যই একটি চ্যানেলের রিচ অনেক ভালো থাকতে হবে। যেমন চ্যানেলের ভিডিওর এ্যাভারেজ ভিডিও ভিউজ ভালো হতে হবে, অন্তত পক্ষে ৫০ হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার কম হলেও যদি ভিডিওর ভিউজ বেশী হয় তাহলেও স্পন্সর পাওয়ার সম্ভব।


স্পন্সর হচ্ছে ধরে নিন আপনি মোবাইল রিভিউ নিয়ে ভিডিও তৈরী করেন। আপনার চ্যানেলের রিচ ভালো থাকলে। আপনার চ্যানেলে বিজনেস ইমেইল হিসেবে প্রোভাইড করা ই-মেইলে আপনি অনেক বিজনেস প্রপোজাল পাবেন। লাইক - কোনো মোবাইল কোম্পানী আপনাকে স্পন্সর করবে যে, অমুক ফোনটা রিভিউ করে দেখাবেন, সেজন্য তারা আপনাকে রিভিউ করার জন্য ইনটেক ফোন ৭/৫ দিনের জন্য দিবে এবং সাথে আপনাকে কিছু টাকা অফার করবে (তবে ফোনটা রিভিউ শেষে ফেরত দিতে হবে)। টাকার পরিমান অবশ্যই আপনার চ্যানেল কতটা বড়, কতগুলো সাবস্ক্রাইবার আছে এটার উপর নির্ভর করবে।

এভাবে আপনার চ্যানেলের ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনার কাছে অনেক স্পন্সরশীপ প্রপোজাল আসবে। সেগুলো আপনাকে ডিল করে নিতে হবে। আবার অনেক কোম্পানী এ্যানুয়াল কন্ট্রাকেও যায়। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার চ্যানেলের উপর।

সো আমাদের দেশেও কিন্তু অনেক চ্যানেলেই প্রায় আপনার স্পন্সর ভিডিও দেখতে পান। কখনও শর্ট ভিডিও স্পন্সরশীপ আবার কখনও ফুল ভিডিও স্পন্সরশীপ। এভাবেও আপনি আপনার চ্যানেল থেকে একটা ভালো অংকের টাকা আয় করতে পারবেন।

Branding Promotion
অনেক সময় অনেক বড় বড় চ্যানেলে দেখবেন ভিডিওর কোনায় কা এক পাশে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং লোগো সেট করা থাকে (যেমন- রবি, ব্র্যাক, গ্রামিনফোন, বাংলালিংক, বিভিন্ন ব্যাংক ইত্যাদি)। আবার ভিডিওর মাঝখানে সেই কোম্পানীর অ্যাড আলাদাভাবে যুক্ত করা হয় (যেটা গুগল কর্তৃক মনিটাইজকৃত এ্যাড নয়)। এগুলোই হচ্ছে ব্র্যান্ডিং প্রমোশন, এই ব্র্যান্ডিং প্রমোশন গুলো আপনাকে যে কোম্পানী গুলো দিবে তারাই আপনার সাথে নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য কন্ট্রাক্ট করবে, সেটা ৬ মাসের হতে পারে, ১ মাসের হতে পারে, আবার ১ বছরের হতে পারে। এবং ঐ নির্দিষ্ট সময়ে আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে তাদের লোগো ও অ্যাড ব্যবহার করার জন্য তারা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমানের একটা টাকা দিবে যেটা আপনার ও কোম্পানীর মাধ্যমে নেগোশিয়েট করে নিতে হবে।
তবে অবশ্যই এসব বড় বড় ব্র্যান্ডিং প্রমোশন পাওয়ার জন্য আপনার চ্যানেলকেও অনেক জনপ্রিয় হতে হবে। আর হ্যা এই ব্র্যান্ডিং প্রমোশন বা স্পন্সরশীপ অফার পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার চ্যানেল অ্যাবাউটে বিজনেস ই-মেইল অ্যাড করে রাখুন। যেটার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানী আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে।

Product Selling
অনেকেই বিভিন্ন পন্য কিনে বিক্রি করতে চান অনলাইনে। আপনি চাইলে আপনার বিক্রয়যোগ্য পন্যের রিভিউ করে বা পন্যটির ব্যাপারে বুঝিয়ে- দেখিয়ে সেটার সেল ইনক্রিজ করতে পারেন। ভিডিওর ডেসক্রিপশনে আপনার পন্যটি কিভাবে কাস্টমার পাবে সে সম্পর্কে গাইডলাইন দিবেন মোবাইল নাম্বার দিবেন আমি ১০০% বিশ্বাসী এই পন্থায় আপনার পন্যের সেল আপনি নিমিষেই বাড়িয়ে নিতে পারেন।

Business Marketing
ধরে নিন আপনার একটা বিজনেস আছে, আপনি সেটার মার্কেটিং, প্রচার-প্রসারও ইউটিউব এর মাধ্যমে করতে পারেন। আপনার ইউটিউব হোম পেইজে গেলে এমন ভিডিও অনেক পাবেন, যারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে সেগুলো সেল করছে, সেটা শাড়ি, কসমেটিক্স বা ইলেক্ট্রনিক পন্য হতে পারে। ঠিক একই ভাবে আপনি আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করেও আপনার প্রতিষ্ঠানের রেভিনিউ বা ইনকাম বাড়াতে পারেন। আর বিজনেস মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইউটিউব এর ব্যাপারে নিশ্চয়ই আপনাকে আর বলতে হবে না। যেকোন ধরনের বিজনেস মার্কেটিং এ এখন ইউটিউব কে সবাই সবার উপরে প্রাধান্য দেয়।

এবার চলে আসি অনন্য আরও একটি মাধ্যমে। কনটেন্ট রাইটিং করে আয় করা নিয়ে হয়তো এর আগেও আপনি অনেক শুনেছেন। আর আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে কনটেন্ট বা আর্টিক্যাল রাইটিং করে আয় করাটা আপনার জন্য পানিভাত হয়ে যাবে।

আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই কোনো ক্যাটাগরির উপর আপনি ভিডিও তেরী করছেন। তাহলে আজ থেকেই আপনি গুগলের ব্লগার এ গিয়ে একটি ফ্রি ডোমেইন নেইম নিয়ে আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলুন। আপনি চাইলে টপ লেবেল ডোমেইন ও কিনে কাজ করতে পারেন।

শুধু চ্যানেলে ভিডিওটি আপনার যে বিষয়ে বানিয়েছেন, সে বিষয়ে লিখে আপনি মানুষকে বোঝাবেন এবং আমাদের কনটেন্ট এর মতো ভিডিওটাও এ্যাড করবেন। তাহলে আপনার প্রতিটি ভিডিও আপনার ওয়েবসাইটের এক একটি কনটেন্ট হতে পারে।

কনটেন্ট লিখে আপনি আপনার ওয়েবসাইট টি গুগল এ্যাডসেন্স থেকে মনিটাইজ করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও টাকা আয় করতে পারবেন। কি অ্যামেইজিং ব্যাপার তাই না?

সো বন্ধুরা শেষ, টপিকটা পড়ার আগে অবশ্যই আপনি যদি এখনও আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব না করে থাকেন তাহলে এক্ষুনি নিচের লিংক থেকে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন।
Facebook Marketing
আপনি যদি ইউটিউবে আর্ন করা নিয়ে ঘাটাঘাটি করে থাকেন, তাহলে নিশ্চয়ই শুনেছেন ইউটিউব এর পাশপাশি, ফেসবুক পেইজকেও মনিটাইজ করে আয় করা যায়। জি, তাহলে আর দেরি কিসের? আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নিশ্চয়ই একটি পেইজ আছে সেখানে এখন থেকে ভিডিও আপলোড করে নির্দিষ্ট মাইলস্টোনে পৌঁছানোর পর আপনি আপনার ফেসবুক পেইজকে মনিটাইজ করেও সেখান থেকে ভালো অংকের একটা রেভিনিউ আর্ন করতে পারেন।
সো বন্ধু উপরে যে ৮ টি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি; সব গুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ করতে পারেন। এছাড়াও আপনি আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে বা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করে আপনার কাঙ্খিত টপিক আমাদেরকে জানাতে পারেন যেটা নিয়ে আমরা পরবর্তীতে ভিডিও নিয়ে আসব। আমাদের ফেসবুক গ্রুপ ও ইউটিউব চ্যানেলগুলোর লিংক নিচে দেয়া আছে। এক্ষুনি জয়েন করুন এবং আপনার মতামত জানান। ধন্যবাদ সবাইকে!

Visit Our YouTube Channels

Follow Me on Social Media

Join us on Facebook Groups
 

Our Facebook Pages

Visit My Personal Website



📑 Business Inquiry: techunlimitedbd@gmail.com

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.